নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলা এলজিইডি অফিস কর্তৃক উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণে বেঁধে দেয়া সময় আছে আর মাত্র ১২দিন। এখনো ভবন নির্মাণের ৩০শতাংশ কাজও সম্পন্ন হয়নি।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ৪ তলা বিশিষ্ট এ ভবনটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করলে কাজটি পায় নূর সিন্ডিকেট। কাজের প্রাক্কলিত মূল্য হচ্ছে ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৯১ হাজার ১৩৮ টাকা। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ভবন নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয় ১১-০৭-২০১৮ ইংরেজিতে। এবং কাজ সমাপ্তির জন্য বলা রয়েছে ১২-১১-২০১৯ইং তারিখে। এ হিসেবে ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্নের সময় রয়েছে মাত্র ১২দিন। কিন্তু এ কাজ আরো কতদিনে সম্পন্ন হবে তা নিশ্চিত ভাবে কেউ বলতে পারছেনা।
সরেজমিনে পরিদর্শণ করে দেখা যায়, এখনো ৭০ শতাংশ কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। এ নতুন ভবনটিতে সরকারের ১৮টি দপ্তরের অফিস কার্যক্রম চলবে। ভবন নির্মাণের তদারকিতে রয়েছেন, চকরিয়া এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজুল ইসলাম।
কাজের ধীরগতি নিয়ে আজ দুপুরে চকরিয়া নিউজের এ প্রতিনিধি, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্ষার কারণে তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ এগোতে পারেননি। তবে ঠিকাদার এ পর্যন্ত ৪ দফায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। বাকি কাজ গুলো দ্রুত সম্পন্নের জন্য আমরা বার বার তাগদা দিচ্ছি।
অভিযোগ উঠেছে, চকরিয়া এলজিইডি’র অফিস প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল এ অফিসে যোগদানের পর থেকে পূর্বের কাজের ধারাবাহিকতা এলোমেলো হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। অফিস চলাকালীন সময়ে তাকে অফিসে পাওয়া এক দূ:স্বপ্নের ব্যাপার এ অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে যেসব দরপত্র অনুযায়ী চকরিয়ায় চলমান কাজ রয়েছে ওইসব কাজেও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যাবে।
তার দপ্তর থেকে, স্থানীয়-আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপন গুলোর বিল প্রদানেও রয়েছে খাম খেয়ালি পনা। এ অভিযোগ সাংবাদিকদের। ইতিমধ্যে অনেক ভুক্তভোগি তার এসব অনিয়মের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ তার অফিসে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাকে না পাওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
পাঠকের মতামত: